পশ্চিমবঙ্গ নবান্ন স্কলারশিপ : ছাত্র-ছাত্রীরা পাবে 10 হাজার টাকা।

Spread the love

নবান্ন স্কলারশিপ বা বৃত্তি হল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রান্তহবিল (CMRF) দ্বারা পরিচালিত একটি আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি, যার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পটভূমিতে পড়াশোনারত শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয় আর্থিকভাবে। যে ব্যক্তিটা সারা রাজ্য জুড়ে সমস্ত স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ রয়েছে বর্তমানে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কি কি যোগ্যতা থাকলে পশ্চিমবঙ্গ ত্রান্তহ বিলে এই নবান্ন ব্যক্তি বা স্কলারশিপে আবেদন করা ? কত টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া যাবে স্কলারশিপের ? আবেদন পদ্ধতি কি কি রয়েছে ? তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা এই প্রতিবেদনে আপনার মনে জমে থাকা যাবতীয় সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। যেটা এখানে আবেদন করতে এবং এই স্কলারশিপ সম্বন্ধে আপনার সমস্ত রকম সাহায্য করবে। সুতরাং দেরি না করে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটা অবশ্যই পড়বেন।

কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন এখানে আবেদন করতে হলে : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দ্বারা দেওয়া এই বৃত্তিবাস স্কলারশিপে আবেদন করতে হলে আবেদনকারী ব্যক্তি বা শিক্ষার্থীর বিশেষ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন পরবে। সেগুলি হল –

  • আবাসিকতা : আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • শিক্ষাগত পারফরমেন্স : উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীকে দশম শ্রেণি অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষায় 50% থেকে 60% এর মধ্যে নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। স্নাতক স্তরে আবেদন করতে হলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে। কিন্তু স্নাতকোত্তর তোরে আবেদন করতে হলে আবেদনকারী প্রার্থীকে স্নাতক স্তরে 50% থেকে 53 % এর মধ্যে নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • পারিবারিক বার্ষিক আয় : আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে 1 লক্ষ্য 20 হাজার টাকার কম।
  • কোর্সে ভর্তি : পশ্চিমবঙ্গের একটি নিয়মিত পুনরকালীন করতে নিবন্ধিত হতে হবে।, যার মধ্যে সাধারণ ডিগ্রী কোর্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন, আইন, ফার্মেসি এবং নার্সিং এর মত পেশাদার প্রোগ্রাম গুলীয় সুবিধা পাবে ।

বৃত্তির পরিমাণ

স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য (সাধারণ কোর্স): প্রতি বছর ₹১০,০০০।
পেশাদার কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য (ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, ইত্যাদি): প্রতি বছর ₹১২,০০০ পর্যন্ত (যাচাইয়ের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়)।

আবেদন পদ্ধতি

ধাপ ১: প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত করুন
আবেদনকারীদের অনলাইন মোডে আবেদনপত্রের সাথে নিম্নলিখিত নথিপত্র জমা দিতে হবে:

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সম্বোধন করা পূরণকৃত আবেদনপত্র ।
পূর্ববর্তী স্কুল বা কলেজ থেকে সাম্প্রতিক ফি প্রদানের রশিদ ।
পূর্ববর্তী পরীক্ষার মার্কশিট থাকতে হবে ।
সরকারি কর্তৃপক্ষ (DM/SDO/BDO) কর্তৃক জারি করা আয়ের শংসাপত্র ।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সম্বোধন করা একজন এমপি/বিধায়কের সুপারিশপত্র অবশ্যই থাকতে হবে ।
শিক্ষার্থীর তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করে স্ব-ঘোষণাপত্র (প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরিত)।
ব্যাঙ্কের বিবরণ (আইএফএসসি কোড এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ পাসবুকের ফটোকপি)।
যোগাযোগের বিবরণ (মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি)।
ধাপ ২: আবেদনপত্র কীভাবে জমা দেবেন


আবেদনকারীরা তাদের ফর্মগুলি নথিপত্রের সাথে ডাকযোগে অথবা ব্যক্তিগতভাবে নীচের ঠিকানায় জমা দিতে পারবেন:

সহকারী সচিব,
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়,
‘নবান্ন’,
৩২৫, শরৎ চ্যাটার্জী রোড,
হাওড়া – ৭১১ ১০২, পশ্চিমবঙ্গ

গুরুত্বপূর্ণ নোট

সমস্ত নথি অবশ্যই একজন গ্রুপ-এ সরকারি কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে ।
অবশ্যই, বৃত্তিটি প্রতিটি কোর্স স্তরের জন্য একবারের জন্য । উচ্চতর কোর্সে অগ্রগতির সময় শিক্ষার্থীরা পুনরায় আবেদন করতে পারে
আবেদনের কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই এবং পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সারা বছর ধরে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়।

Leave a Comment